নড়িয়ায় স্কুলছাত্র হত্যা: দুই আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে

শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র সিজান আকন (১৭) নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৩টায় শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মো. মেসবাহ উদ্দিন খান এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো-ইব্রাহিম জয় (২২) ও রাহিম হাওলাদার (২৪)। নিহত সিজান আকন নড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লোনসিং গ্রামের বিল্লাল আকনের ছেলে। সে নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

জিসানের বাবা বিল্লাল আকন ও মা রুমা বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় বখাটে লাবিব ছৈয়াল, ইব্রাহিম ব্যাপারী জয়, রাহিম হাওলাদার, নাহিম ছৈয়াল ও জুবায়ের ছৈয়াল মিলে সিজানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। তারা মাদকাসক্ত। পরিকল্পিতভাবে জিসানকে হত্যা করেছে। জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: ফ্রি ফায়ার গেমকে কেন্দ্র করে স্কুলছাত্রকে ‘হত্যা’

নড়িয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি মোতালেব ব্যাপারী বলেন, ‘নেশা করার প্রতিবাদ করায় ও ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে বখাটেদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র সিজান নিহত হয়েছে। হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।’

পলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম লোংসিং মাদবর বাজার এলাকায় নেশা করার প্রতিবাদ করায় ও ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় বখাটেদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র সিজান আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া সিজানের দুই বন্ধু মুন্না ছৈয়াল ও আসিফ ব্যাপারী ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর ইব্রাহিম জয় ও রাহিম হাওলাদার নামে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন সিজানের বাবা।

নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান জানান, দুই আসামিকে আদালতে তুলে দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়িয়া থানার এসআই রিপন। পরে তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।