‘৬১ বছরের শামীম ওসমান এখন যুবক, আপনারা খেললে আমরাও খেলবো’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘সামনে প্রচণ্ড আঘাত আসবে। এই আঘাতের মাধ্যমে ফাইনাল আঘাত করবে ওরা আমাদের ওপরে। ওদের উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই, আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সারা বাংলাদেশের মানুষ লাগবে না। আপনারা ৬১ বছরের বুড়াকে যুবক বানিয়ে দিয়েছেন। ৬১ বছরের শামীম ওসমান এখন ১৬ বছরের তাজা টগবগে যুবক। আপনারা খেলতে চান, অবশ্যই আমরা খেলবো। সেই খেলায় আমরা জিতবো ইনশাআল্লাহ। তাই এখন ঐক্যের সময়।’

সোমবার (১৫ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা খেলবো, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। এই খেলায় বাংলাদেশে আমরাই জিতবো এবং আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনা বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘জনগণকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে। আন্দোলন করেন আপত্তি নাই, ভোট করে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন আপত্তি নাই। কিন্তু যদি মনে করেন অন্য কিছু করবেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করবেন। তাহলে বলতে চাই, প্রস্তুত থাকেন খেলা হবে এবং আমরা সেই খেলায় জিতবো ইনশাআল্লাহ।’

এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা পৃথিবী আজ টালমাটাল হয়ে গেছে। এই যুদ্ধে লাভবান কারা হয়েছে? ডলার ও রুবলের দাম বেড়েছে। পৃথিবীর মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবার আজকে অসহায়ত্ববোধ করছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর বাইরের কোনও দেশ না। কিন্তু এই সুযোগে কেউ কেউ মনে করছে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর হবে, দেশকে আঘাত করবে। আবারও আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াবে। বিদেশে থেকে টাকা ঢুকেছে, সেই টাকা দিয়ে নাশকতা চালাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, টাকা ঢুকেছে। যেই ষড়যন্ত্র এবার হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো জঘন্য ষড়যন্ত্র কখনও হয়নি। ওরা এবার মানুষকে টার্গেট করছে না, ওরা এবার দেশটাকে টার্গেট করছে। দেশটাকে দেউলিয়া বানিয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়ে দিতে চায়।’

বিএনপি দলীয় নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসতে হাসতে বলে ‘‘কয়েকদিন পরে আপনারা চোখে সরশে ফুল দেখবেন’’ কেন সরশে ফুল দেখবো? তখন বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কা হয়ে যায় ওনার তো খুশি হওয়ার কথা না। দেশের কোনও মানুষের খুশি হওয়ার কথা না, আর রাজনীতিবিদ হিসেবে ওনার তো খুশি হওয়ার কথা না। খুশি হতে পারে তারা, যারা একাত্তরে আমার মা-বোনদের পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল।’