ডেকে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা: এক আসামির দোষ স্বীকার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র সিফাত মিয়া (১৩) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামির মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকালে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের আদালতে জবানবন্দি দেন মেহেতাব মিয়া (১৯)। গ্রেফতার আরেক আসামি আবু তালেব সিদ্দিকীর (৭০) সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবু তালেব মির্জাপুর উপজেলার গোড়াইল গ্রামের হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর ছেলে এবং মেহেতাব কাটরা গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে। বুধবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিহত সিফাত মিয়া উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। সে মির্জাপুর আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর রেলক্রসিং এলাকায় সিফাত ও তার আরেক সহপাঠী চটপটি খেতে যায়। এ সময় এক যুবক এসে সিফাতকে ডেকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময়েও ফিরে না আসায় ওই সহপাঠী সেখান থেকে চলে যায়। এরপর রাতে উপজেলার ত্রিমোহন মাঝিপাড়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে সিফাতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মির্জাপুর থানায় সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আসামি মেহেতাব স্বীকার করেছে।

মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ জানান, সিফতার হত্যার ঘটনায়ং দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন প্রাথমিক সিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আসামি মেহেতাব হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি আবু তালেবের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে এখনও শুনানি হয়নি।