নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত যুবকের বাড়িতে মির্জা ফখরুল

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে নিহত শাওন প্রধানের (২৩) বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তিনি সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নে পূর্ব গোপালনগর এলাকায় পৌঁছান। এরপর শাওনের মা ও ভাইকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মা-ভাইসহ অন্য স্বজনরা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচিতে এই ঘটনা ঘটেছে। শাওন মারা গেলো। একটা গণতান্ত্রিক দেশে এটা চলতে পারে না। একইভাবে মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুমিল্লাসহ অসংখ্য জায়গায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা চালানো হয়েছে। আজকে একটা কথা মনে রাখতে হবে, শাওন দাবির কথা বলতে গিয়ে, অধিকারের কথা বলতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে, ব্যক্তিগত কথা বলতে গিয়ে প্রাণ দেয়নি। আমাদের জন্য দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। শাওনকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে। পুলিশের এসপি সাহেব বলেছেন, শাওন নাকি যুবদলের কর্মী না। যুবদলের কর্মী না হলেও তাকে গুলি করে হত্যা করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনারা কোনোরকম অন্যায় মানবেন না।’

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শাওনের মা ও ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং শাওনের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোওয়া করেছেন। তিনি শাওনের পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, এই পরিবারের দায়িত্বে আমাদের নেতা তারেক রহমান নিয়েছেন।

এ সময় দলটির জেলা ও মহানগরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।