বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী 

বাংলাদেশের সৌন্দর্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু পর্যটন করপোরেশন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ‘মরিশাস শুধু পর্যটন খাত থেকে প্রতি বছর ১৫ হাজার ৭০০ ডলার আয় করে। সেখানে এমন কিছু ব্যতিক্রম দেখিনি, যা বাংলাদেশে নেই। তবে সেখানে পর্যটকরা যথেষ্ট নিরাপত্তা পায়, নিরাপদে বেড়াতে পারে, এটাই তাদের একমাত্র পুঁজি। বিধাতা বাংলাদেশে এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়েছেন। এ সৌন্দর্যকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন করপোরেশন তৈরি করেছিলেন। বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে পরিণত করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড তার সব ইচ্ছাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।’

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর মহানগরের সালনায় ‘সালনা রিসোর্ট এবং পিকনিক স্পট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরে পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকায় ট্যুর পরিচালনার জন্য ইউরোপের মতো ছয়টি সাইট সিয়িং দোতলা বাস কেনা হবে। যার প্রতিটির মূল্য হবে ছয় কোটি টাকা। এজন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু এলসি খোলা বাকি। পৃথিবীর মধ্যে যত ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে তার কোনোটি সাস্টেইনেবল নয়। একমাত্র ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিই সাস্টেইনেবল। একটা দেশের চালিকাশক্তি হিসেবে জিডিপিতে সবচেয়ে কন্ট্রিবিউট করে এই খাত।  

জানা যায়, ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে সালনা রিসোর্ট এবং পিকনিক স্পট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় চলতি বছরের জুন মাসে। ৩.১২ একর ভূমির ওপর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের সালনায় রিসোর্টটি তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আলী কদরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অতিরিক্ত সচিব অলি উল্যাহ, সুকেশ কুমার, আবু তাহের,  যুগ্ম সচিব জামিল আহমেদ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান প্রমুখ। মন্ত্রী ফলক উন্মোচনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সালনা রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক স্পট ঘুরে দেখেন।

রিসোর্টে ছয়টি আধুনিক কটেজ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি কটেজে দুটি বেডরুম, একটি ড্রইং কাম ডাইনিং রুম রয়েছে। আধুনিক স্থাপত্য নকশায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৬০ আসন বিশিষ্ট রেস্তোরাঁ, অভ্যর্থনা কাউন্টার, তিনটি স্যুভনির শপ, একটি কফি কর্নার, দ্বিতীয় তলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনফারেন্স হল, গ্রুপ ট্যুরিস্টদের ডে-আউটিংয়ের জন্য দুটি পিকনিক শেড ও একটি কুকিং শেড রয়েছে। যেখানে ২০০-৩০০ লোকের সবধরনের খাবার প্রস্তুতের ব্যবস্থা রয়েছে।