সাভারের আশুলিয়ায় এক কিশোরী (১৫) ও শিশুকে (১১) ঘরে আটকে ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরী ও শিশুর বাবা। রবিবার (২ অক্টোবর) মামলা রুজু হলে পুলিশ ভোরে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এর আগে শনিবার (১ অক্টোবর) বিকালে আশুলিয়ার ধামসোনা (ডেন্ডাবর) এলাকার তাজু মিয়ার বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রবিবার ধর্ষিতা কিশোরী ও শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে ঈমন (২১), শেরপুর জেলা সদর উপজেলার বাকেরকাম্পা গ্রামের ইদ্রিস আলীর নাঈম (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্জারামপুর উপজেলার আজমল খানের ছেলে আশরাফুল (২০), একই উপজেলার আকানগর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে নূর হোসেন (২০) এবং শেরপুর জেলা সদর উপজেলার বাকেরকাম্পা গ্রামের একাব্বর আলীর ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (২১)। উপজেলার আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
শিশুর বাবা জানান, এলাকার লোকজন আমাকে ডেকে ঘটনাটি জানায়। পরে মাইয়া আমাকে জানায় ওরে ঘরে আটকাইয়া নির্যাতন করছে।
আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিয়াউল হক বলেন, কিশোরী তাকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা পুলিশকে জানিয়েছে।