এক মাসেও চালু হয়নি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট

পদ্মার ভাঙনে বন্ধের এক মাস পরও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট চালু হয়নি। গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে ফেরিঘাট এলাকার নদী পাড়ের প্রায় ১০০ মিটার জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের কারণে বন্ধ রাখা হয় ৫ নম্বর ফেরিঘাট। এর ফলে ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা হোটেল, মুদিদোকান ও ওষুধের দোকানের ব্যবসায়ীসহ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। ভাঙনের কারণে ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অন্তত ১০টি দোকান ও হোটেল অনত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।

৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার খাবার হোটেল ব্যাবসায়ী সোবহান শেখ বলেন, ‘আমি এই ঘাটে ছয় বছর হোটেল ব্যবসা করে আসছি। গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে হঠাৎ পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙনের কারণে আমার হোটেল সরিয়ে নিই। এছাড়া ৯-১০টি দোকান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়। একমাস পার হলেও এই ঘাটটি চালু করা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।’

মৎস্য ব্যাবসায়ী আলমগীর মোল্লা বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের পরপরই যখন ৫ নম্বর ঘাট ভাঙতে শুরু করে, আমরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আমার আড়তঘর থেকে বের হয়ে দেখি পন্টুনের নিচ থেকে মাটি সরে পন্টুন দেবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীর পারের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।’

রাজবাড়ী-২

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘২১ জেলার প্রবেশপথ অন্যতম এই ঘাট ভাঙনের কবলে পড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ। শুধু শুনে আসছি দ্রুত নদী শাসনের কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজের কোনও অগ্রগতি দেখছি না। ঘাট বন্ধ থাকায় আমার মতো অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। ঘাটটি দ্রুত চালু করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে দ্রুত নদী শাসনের দাবি জানাই।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, ঘাটটি চালুর জন্য মেরিন বিভাগ থেকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি’র প্রকৌশলীরা এ নিয়ে কাজ করছেন। তারা ঘাট চালু করে দিলেই এখানে ফেরি ভেড়ানো যাবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, পদ্মার ভাঙন একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এখানে কারও হাত নেই। পানি কিছুটা কমেছে। পানি আরও কিছুটা কমলেই ৫ নম্বর ফেরিঘাট চালু হবে। যত দ্রুত সম্ভব ব্যস্ততম এই ঘাটটি চালু করতে চেষ্টা চলছে।