আমি কোনও প্রার্থী না, শেখ হাসিনার সৈনিক: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আগামী ২৩ ও ২৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন গণমাধ্যম লিখছে, শামীম ওসমান প্রার্থী। কিন্তু আমি একটা কথা স্পষ্ট করতে চাই, আমি কোনও প্রার্থী না। তাহলে আমি কে? আই অ্যাম দ্য সোলজার অফ শেখ হাসিনা (আমি শেখ হাসিনার সৈনিক)।’

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকালে শহরের রাইফেল ক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিএনিপর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের কথা শুনলে নাকি ঘোড়াও হাসবে। আর ওনাদের কথা শুনলে, ১০ তারিখে নাকি খালেদা জিয়া ও ১১ তারিখে তারেক জিয়া আসবে, ঘোড়ার ডিম আসবে। ঘোড়া যেদিন ডিম পাড়বে সেদিন হয়তো হবে। তবে ঘোড়া হাসে এটা সত্য। আসলে পশু পশুকে চেনে। যেদিন ঘোড়া ডিম পাড়বে সেদিন ১০ তারিখের পর আপনাদের সম্মেলন হবে। আমরা প্রস্তুত আছি নারায়ণগঞ্জবাসী।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমরা সব কিছু ভুলে যেতে চেষ্টা করেছি। ঘর থেকে বের করে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। এই অত্যাচারে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাসায় থাকতে পারেনি। আমরা শেখ হাসিনার কথায় এগুলো সব ভোলার চেষ্টা করেছি। আপনাদের দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া উচিত যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তা না হলে আপনাদের কী করুণ পরিণতি হতো আপনারা জানেন না। শেখ হাসিনা ধৈর্যের প্রতীক, নীলকণ্ঠী সব বিষ খেয়ে হজম করেন।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই ক্ষমার সুযোগে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বাচ্চা ছেলেরা অশ্রাব্য ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছে ও গালি দিচ্ছে এটা ঠিক হচ্ছে না। আমাদেরও তো অনেক জুনিয়র নেতাকর্মী রয়েছে- যাদের মেজাজ-রক্ত আপনাদের মতো গরম, তাদের কতক্ষণ কন্ট্রোল করে রাখবো। তাই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বলবো, ওদেরকে সুশিক্ষা দেন। এতে উল্টো মানুষ আপনাদের খারাপ বলছে।’

ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে শত বছরে একটা করে মোশতাক-মীরজাফর আসতো আর এখন মাসে মাসে। মহল্লায়-মহল্লায় এরা (মোশতাক-মীরজাফররা) জন্ম নেয়। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে হাইব্রিড নেতাদের ধাক্কায় আমার অরিজিনাল ত্যাগী নেতারা সাইডে গিয়ে পড়ে যায়।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব কামাল হোসেন সহ প্রমুখ।