ইঞ্জিনে আটকে পড়া তরুণকে টেনে-হিঁচড়ে দেড় কিমি নিয়ে গেছে ট্রেনটি

নরসিংদীতে ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর আবু কালাম (২০) নামে এক তরুণের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। নিহত তরুণ নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর শীলমান্দী (দড়িপাড়া) গ্রামের শহিদ মিয়ার একমাত্র ছেলে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় পলাশের জিনারদী রেল স্টেশন সংলগ্ন রেললাইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের বাবা শহিদ মিয়া জানান, আবু কালাম দেড় বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। একমাত্র ছেলেকে সুস্থ করার জন্য ভিটেবাড়িও বিক্রি করে চিকিৎসা করার পর কিছুটা সুস্থও হয়ে উঠছিল। সম্প্রতি আবার অসুস্থতা বেড়ে যায়। শুক্রবার বিকালে স্থানীয় মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে রেললাইনে যাওয়ার পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই  ইকবাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার সময় আবু কালাম রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। বেশ কয়েকবার হুইসেল বাজালেও তিনি সরেননি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে থাকা অবস্থায় দেড় কিলোমিটার যাওয়া পর জিনারদী রেল গেট স্থানে কাটা পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার শরীর। রেল লাইনে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ নিহতের মাথা ও হাত-পা ছিন্নবিচ্ছিন্ন উদ্ধার করে। রাত ৯টার দিকে নিহতের বাবা শহিদ মিয়া ঘটনাস্থলে এসে পরনের লুঙ্গি দেখে আবু কালামের লাশ শনাক্ত করেন। কোনও অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।