‘কখন রাজপথে নামতে হবে বলবেন, আমরা প্রস্তুত’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন চায় সবাই, হাইব্রিডের ধাক্কা খেতে চায় না। বোমা হামলায় দুই পা হারানো চন্দন শীলকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করায় খুশি হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অথচ গত কমিটিতে এমন লোক ছিল আমি নিজেও কয়েকজনকে চিনি নাই। পরে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এরা কারা? উত্তরে শুনলাম দলের নেতাকর্মী। কমিটির এসব নেতাকর্মী দিয়ে ওই শকুনের দল ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি থাবা দেবে। তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি করলে আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও যখন নারায়ণগঞ্জে ভাষণ দেবেন, তখন বলবেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল, আছে এবং থাকবে।’

কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসী আপনাদের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে আছে। কখন রাজপথে নামতে হবে বলবেন, আমরা প্রস্তুত আছি।’

রবিবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের পৌর ওসমানী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ভাই, নারায়ণগঞ্জের যত উন্নয়ন, তার বেশির ভাগেরই দাবিদার তারা। শেখ হাসিনা বলেছেন, বায়তুল আমান ছিল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমার বাবা ও ভাইয়ের অবদানের কথা তিনি বলেছেন। আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।’

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব কামাল হোসেন ও শ্রমিক লীগের সদস্য হাজী রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল।