ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মাদারীপুরে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নেওয়ায় মাদারীপুরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সকালে বৃষ্টি আরও বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

জানা গেছে, সকাল থেকে রাজৈর, কালকিনি, শিবচরসহ সব উপজেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের খেটে-খাওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজের সন্ধানে বাইরে বের হয়েছেন তারা। 

জেলার অনেক স্থানে বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল কমেছে। ভারী বর্ষণের কারণে সড়কে নেই মানুষের আনাগোনা। অনেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

মাদারীপুর-৩

শিবচরের ৭১ চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশাচালক মজিদ মুন্সি বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রী নেই। এ পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়া পেয়েছি, তা দিয়ে নাস্তার টাকাও হচ্ছে না।’

শিবচরের চরজানাজাত এলাকায় কৃষক জসিমউ দদীন বলেন, ‘রাত থেকে বৃষ্টি। সকালে কাজে যেতে পারছি না। সংসারে ছয় জন মানুষ। একদিন আয় বন্ধ হলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমাদের কাছে তো আর আর জমানো টাকা নেই।’

উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ও ২ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। এভাবে বৃষ্টি হলে ক্ষেতে পানি জমে সব নষ্ট হয়ে যাবে।’

মাদারীপু-২

শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মিসবাহ্ উদ্দীন বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল অনেক কমে গেছে। মধ্যরাত থেকেই আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে।’

মাদারীপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আবদুর রহিম সান্টু বলেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে সূর্য দেখা যায়নি। সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪০.৪ মিলিমিটিার। ঘণ্টায় বাতাসের গতি তিন নটিক্যাল মাইল। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়ার। আজ দুপুর থেকে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।