‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’

ঋণের চাপে ও অভাবে পড়ে টাঙ্গাইলের সখিপুরে আলী আজম (৪০) নামে এক পল্লী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে গেছেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার লাশ যেন পোস্টমর্টেম না করা হয়। আমার কাকা (স্থানীয় মেম্বার) যে কদিন বেঁচে থাকবেন, তিনি আমার পরিবারকে দেখবেন।’

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লাঙ্গুলিয়া বাজারের নিজ দোকানের ভেতর থেকে তার লাশ ও চিরকুটটি উদ্ধার করে পুলিশ। আলী আজম উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের আবুল ব্যাপারীর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়েন উদ্দিন বলেন, ‘আলী আজম অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এক সময় শেয়ার বাজারে ব্যবসাও করেছে। ওই সময় বাবার জমিজমা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। এরপরও ব্যাংক, এনজিও ও স্থানীয়ভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এমতাবস্থায় কোনও কূল না পেয়ে একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে তিনি সকালের নাশতা খেয়ে দোকানে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। চিরকুটে আলী আজম তার পরিবারকে আমাকে দেখাশোনা করার জন্য লিখে গেছেন।’

আলী আজমের বোন জামাই আতোয়ার রহমান বলেন, ‘আমার শ্যালক কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিল। তিনি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। পুলিশের কাছে লিখিত দিয়ে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছি। চিরকুটটি পুলিশের কাছে রয়েছে।’

সখিপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘পরিবার জানিয়েছে, আলী আজম ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ধারণা করছি, ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’