ফরিদপুরে বিআরটিসি বাসও বন্ধ

ফরিদপুর জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে এবার সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস চলাচলও বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে ফরিদপুরে বেসরকারি পরিবহনের পাশাপাশি বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা অনুযায়ী শুক্র ও শনিবার ফরিদপুরের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখা হবে। 

ফরিদপুর বিআরটিসি পরিবহনের সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার ও শনিবার ফরিদপুরের সব পথে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। 

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,  মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের দাবিতে বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ৩৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে। আমরাও ওই দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাল ও পরশু আমাদের কাউন্টার বন্ধ থাকবে।

মোজাম্মেল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে বাস ইজারা নিয়ে চালাই। তাদের কথা শুনতে হয়। আবার বাসের সঙ্গে শ্রমিকেরা জড়িত, তাদের দাবিও উপেক্ষা করতে পারি না।’ 

এরআগেও বাস মালিক ও শ্রমিকেরা বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধে ধর্মঘট করেছিল। এখন তাদের সঙ্গে ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শহরে ধর্মঘটের মাইকিং করা হয়। মাইকিংয়ে বলা হয়, ‘মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল) চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুরের সব রুটে বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকবে।

গণপরিবহন বন্ধের বিষয়ে ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, দু’দিন বিআরটিসির বাস বন্ধ করে সরকার প্রমাণ করলো, তারা যা চাইছে, সেভাবেই সব পরিচালিত হচ্ছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিএনপির গণসমাবেশে বাধা দেওয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ, মানুষ বাধা পেলেই বেশি বের হয়। তবে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।