ফুফাতো ভাইকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে নান্নু

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় ফুফাতো ভাইকে হত্যার অভিযোগে নান্নু শাহ (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার শিকার মোশাররফ মোল্লা (৫৪) আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে। নান্নু শাহ তার ফুফাতো ভাই।
 
পুলিশ জানায়, গত ৮ নভেম্বর রাত থেকে মোশাররফকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা। সেই সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে নান্নু শাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে মোশাররফকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

নিহতের স্বজনরা জানান, জমি বন্ধক রেখে মামাতো ভাই নান্নুকে এক লাখ টাকা ধার দেন মোশাররফ। এই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদে নান্নু শাহ পুলিশকে জানান, হত্যার জন্য মোশাররফকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে যান। সেখানে মাছ ধরা জালের সুতা গলায় পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে রেখে দেন।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান জানান, লাশ উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মোশাররফের মেয়ে জিমি বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নান্নু শাহকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।