হত্যার পর লাশ হাসপাতালে নিয়ে যান হত্যাকারী

গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকা ছিনিয়ে নিতে নেসলে কোম্পানির কর্মী দুলাল হোসেনকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ হাসপাতালে নিয়ে যান হত্যাকারী। আড়াই বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার দুলাল হোসেন শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি নেসলে বাংলাদেশের নুডুলস বিভাগে চাকরি করতেন। গ্রেফতারকৃত হাসান ইবনে মারুফ আনসারী (২৪) একই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন আনসারীর ছেলে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, ‘২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন দুলাল। রাজেন্দ্রপুর পেপসি গেট এলাকার এটিএমবুথ থেকে টাকা তুলে সহকর্মী শামীমের মোটরসাইকেলে বাসার সামনের রোডে গিয়ে নামেন। এরপর পায়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী হাসান ইবনে মারুফ আনসারী ও তার দুই সহযোগী টাকা ছিনিয়ে নিতে বাঁশ দিয়ে দুলালের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা দুলালের মানিব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান এবং টাকা ভাগাভাগি করে নেন।’ 

তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দুলালকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়িতে খবর দেন প্রতিবেশী মাসুম মাস্টার। মাসুম মাস্টার হলেন মারুফ আনসারীর বড় ভাই। ওই সময় তিনি মারুফ আনসারীকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। পরে মারুফ আনসারী এবং মাসুম মাস্টার দুলালকে উদ্ধার করে বাসায় নেন। পরে মারুফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুলালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দফতর। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে মারুফ আনসারীর সম্পৃক্ততা পান। পরে মারুফকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যায় জড়িত সহযোগীদের নাম জানান। বুধবার (১৬ নভেম্বর) গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর মধ্য দিয়ে ঘটনার আড়াই বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হলো। ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’