জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জিএমপির অবহেলা নেই: কমিশনার

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই সদস্য আদালতপাড়া থেকে পালানোর ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) দায়িত্বে কোনও অবহেলা ছিল না।

রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেছেন। তারপরও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ঢাকার নিম্ন আদালতের চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রবিবার কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের আদালতে নেওয়ার সময় পুলিশের চোখে স্প্রে করে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের দুই মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা ছিল।

তারা হলো লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব (৩৪) এবং সুনামগঞ্জের মাধবপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি মাইনুল হাসান শামীম (২৪)।

জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্যকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকায় নিয়ে কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

আদালতে নেওয়ার সময় জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগার থেকে আসামি আদালতে পাঠানোর সময় ডান্ডাবেড়ি না পরানোর আদালতের নির্দেশনা থাকায় তাদের তা পরানো হয়নি।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহাত জানান, পলাতক দুই জঙ্গি আবু সিদ্দিক ও মইনুল ইসলাম প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন ও অভিজিৎ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তিনি আরও জানান, কারাগারের প্রধান গেটে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রবেশ বা ভেতরে বের হওয়ার সময় তল্লাশি করা হচ্ছে। কারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক ও তৎপর রয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।