সাভারে আশুলিয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্ত মিয়াকে আটকে রেখে মারধর ও বিকাশে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে একটি চক্র। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় মামলা করেলে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আশুলিয়ার থানার নরসিংহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার মোখলেছুর রহমান (৩২) নেত্রকোনার মদন উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
শিক্ষার্থী শান্ত মিয়া জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে থাকেন।
ভুক্তভোগী শান্ত মিয়া বলেন, সোমবার রাতে নরসিংহপুরের স্টক লডের একটি গোডাউনে মালামাল দেখে ফিরছিলাম। এ সময় ৫-৬ জন যুবক আমার পথরোধ করার চেষ্টা করে। আমি দৌড় দিলে যুবকরাও আমার পিছু নেয়। পরে বাসে উঠলে আমাকে চোর অপবাদ দিয়ে কৌশলে বাস থেকে টেনে নামায়। এরপর জামগড়া রূপায়ন সিটির কাঁশবনের জঙ্গলে নিয়ে তারা আমাকে মারধর করে এবং গলায় ছুরি ধরে আমার কাছে থাকা টাকা লুটে নেয়। একপর্যায়ে আমার হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে গাছের গুঁড়ি দিয়ে চাপা দেয়। তারা আমার মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন দিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের ভয়ে আমার বাবা বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাঠান। তাদের চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় আবারও আমাকে মারধর করে এবং ঘটনাটি কাউকে না জানতে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধান আসামি মোখলেছুর রহমানকে মঙ্গলবার সকালে জামগড়া এলাকার তার স্ত্রীর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত রিমান্ড না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার সহযোগী অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।