চাঁদা না দেওয়ায় ঝুট ব্যবসায়ীর মার্কেটে হামলার অভিযোগ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এক ঝুট ব্যবসায়ীর মার্কেটে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ঝুট ব্যবসায়ী রাহিমার।

এ ঘটনায় সোমবার (১২ ডিসেম্বর) পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাহিমা। এর আগে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে শাকিল (২৭), আজিজুল ইসলামের ছেলে সানি (১৯), আমিরুল ইসলামের ছেলে শাওন (২২), কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে হৃদয় শেখ (২৮), মাওনা বাজার এলাকার ইব্রাহীমসহ (২৫) অজ্ঞাত ৮-১০ জন।

ঝুট ব্যবসায়ী রাহিমা জানান, তার স্বামী গিলারচালা এলাকার মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে ব্যবসা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ব্যবসা দেখাশোনা শুরু করেন রাহিমা। পরে মেয়ের জামাই আল-আমিনকে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন। সম্প্রতি রাহিমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেবে না বলে হুমকি দেন তারা। রবিবার বিকালে নিজ মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন রাহিমা। এ সময় অভিযুক্ত পাঁচ যুবক তাদের ৮-১০ সহযোগীকে নিয়ে এসে রাহিমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে গালিগালাজ শুরু করেন। তখন মেয়ের জামাই আল-আমিন এগিয়ে এলে তাকে মারপিট করেন তারা। সেইসঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল, মার্কেট ও বাড়িতে ভাঙচুর চালান ওই যুবকরা। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। 

রাহিমা বলেন, ‌‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য আতঙ্কে আছি আমরা।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাকিল বলেন, ‌‘আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা। রাহিমা নামে কাউকে আমি চিনি না।’

মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার হেড অব ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আল-আমিন বলেন, ‘রাহিমা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে ব্যবসা করছেন। সম্প্রতি ব্যবসা নিয়ে বাইরের দুটি পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। এখন তাকে মালামাল দিচ্ছি না আমরা।’

তবে হামলার ঘটনায় কোনও অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। যদিও থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রের অনুলিপি সাংবাদিকদেরও দিয়েছেন রাহিমা। এরপরও ওসি বলেছেন, ‘মার্কেটে হামলার কোনও অভিযোগ পাইনি। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’