গাজীপুরে পুলিশের মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ওই মামলায় আট জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়েছে। 

একই দিন সকালে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—সদর থানার রথখোলা এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে কাজী বাবু ওরফে টাইগার বাবু (৩২), বাসান থানার ইসলামপুর এলাকার আশরাফুজ্জামানের ছেলে হাতিম (২০), কোনাবাড়ির কুদ্দুসনগর এলাকার আজাদ হোসেনের ছেলে হাসিব পিয়াল (২০), বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণছাড়া গ্রামের কামাল শেখের ছেলে রাসেল বাবু (২৯), কাপাসিয়ার সুলতানপুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০), টঙ্গীর আরিচপুর এলাকার জাকির মোল্লার ছেলে জাফর মোল্লা (২১), টাঙ্গাইল সদর থানার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সোহান (২১) ও বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (২০)। গ্রেফতারকৃতরা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার বিকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হতে থাকেন। রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল ও সরকার উৎখাত করতে আদালত চত্বর সড়কে মিছিল বের করেন তারা। এতে সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। পুলিশের গাড়িতে হামলা চালান। এতে সদর থানার কনস্টেবল মিন্টু ও নায়েক জহির উদ্দিন আহত হন। পুলিশ লাঠিচার্জ ও দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে আট জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. সফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। এ সময় আদালত চত্বরে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। সেইসঙ্গে তাদের ওপর হামলা চালায়। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’    

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আট জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাবা-মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’