‘হত্যার পর’ স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পালানো যুবক আটক

মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমে তানহা মাহমুদা (২০) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী ফেরদৌস হাসান সোহানকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।

ফেরদৌস হাসানের বাড়ি মীরকাদিম পৌরসভায়। তানহা একই পৌরসভার কাজীকসবা এলাকার মহিউদ্দিন হালদারের মেয়ে। প্রায় দুই বছর আগে ফেরদৌস ও তানহার বিয়ে হয়। মো. মানহাফ নামে ১২ মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে তাদের।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তানহাকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন ফেরদৌস। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান ফেরদৌস। পরে স্বজনরা বিষয়টি থানায় অবগত করলে তাকে আটক করে পুলিশ।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রুহুল আমিন জানান, তানহাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার গলায়, শরীরে ও চোখে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে।

তানহার মামা লুৎফর রহমান জানান, দুই বছর আগে তানহাকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন ফেরদৌস। বিয়ের পর থেকে সময় টাকার জন্য মারধর করতো। রবিবার বিকালে তানহাকে মারধর করে। রাতে আবারও মারধর করে শ্বাসরোধ্যে হত্যার পর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বজনদের খবর দিয়ে পালিয়ে যান ফেরদৌস।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভুক্তভোগীর স্বামী ফেরদৌস হাসানকে আটক করা হয়েছে। মরদের ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।