তালাবদ্ধ ঘরে পড়ে আছে মা-ছেলের লাশ, পাশে বিরিয়ানির প্যাকেট

গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীর স্বামী ঝুম্মনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (এসিআই গেইট) সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত রুবিনা আক্তার (২২) কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে এবং মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর উপজেলার কুদ্দুসের ছেলে ঝুম্মন মিয়ার স্ত্রী। মায়ের লাশের পাশ থেকে ছেলে জিহাদের (৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর স্বামী ঝুম্মন মাওনা এলাকায় ভাড়া থেকে রঙ্গীলা বাজারে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন।  

রুবিনা আক্তারের বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝুম্মন ও তার মাবাসহ আত্মীয়-স্বজন শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে বিভিন্ন কাজ করে আসছে। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রুবিনা তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। গত চার দিন ধরে মা-ছেলেকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা।

তিনি দাবি করেন, নিখোঁজের সপ্তাহ খানেক আগে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। বাড়ির চারপাশে টিনের বেড়ার গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ধারণা করেছিল, রুবিনা ছেলেকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেছে। শনিবার বিকালে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরে অপর পাশ দিয়ে বাড়িতে ঢুকে তাদের বসতঘরের দরজায় তালা লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা। ছোট বোন সেলিনা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মা-ছেলের গলিত লাশ দেখতে পায়।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, লাশ গলিত অবস্থায় থাকায় সুরতহাল করে কোনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। লাশের পাশেই একটি বিরিয়ানির প্যাকেট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সঙ্গে কেউ কিছু মিশিয়ে তাদেরকে হত্যা করতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।