সেবা নিতে আসা নারীর ফোন নম্বর নিয়ে যৌন হয়রানি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বদলি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় পাওয়ায় অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী সম্প্রতি সাটুরিয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গবাদি পশুর ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ নিতে সম্প্রতি সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসানের কার্যালয়ে আসেন ওই নারী। ভ্যাকসিন দেওয়ার আশ্বাসে নারীর মোবাইল ফোন নম্বর চেয়ে রাখেন। এরপর মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কৌশলে আলাপচারিতা করে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। একপর্যায়ে নারীকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অশ্লীল কথাবার্তা চালিয়ে যান। নিষেধ সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর অশ্লীল প্রস্তাব জানালে কথাগুলো রেকর্ড করেন ওই নারী। তদন্ত কমিটির কাছে ভুক্তভোগী তার লিখিত বক্তব্য ও ২২ মিনিটের অডিও রেকর্ডের সিডি জমা দেন।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসানের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, তাকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। তবে এক নারীর অভিযোগের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ওই নারীর করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসানকে বদলির আদেশ দিয়েছেন।