বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের আরেকটি বাঘ দেড় মাস ধরে অসুস্থ

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি বাঘ প্রায় দেড় মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ। বন্য প্রাণী চিকিৎসাকেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে সেটির চিকিৎসা চলছে। অসুস্থতার কারণ বয়সজনিত বলে জানিয়েছেন সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকার বন সংরক্ষক ও প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে সাফারি পার্কে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল।

ইমরান আহমেদ বলেন, ‘সোমবার পার্কে গিয়ে বাঘটিকে দেখে এসেছি। প্রাণী চিকিৎসকদের উচ্চপর্যায়ের একটি দলের চিকিৎসকদের পরামর্শে এটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থতার কারণ বয়সজনিত। বয়স বেশি হওয়ায় অনেকগুলো শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে চিকিৎসকরা পার্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে বাঘটি খাবার গ্রহণ কমিয়ে দেয়। একপর্যায়ে খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেয়। তবে সোমবার গিয়ে দেখেছি, বাঘটি খাবার গ্রহণ করছে।

সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়েকটি বাঘ আনা হয়েছিল এই পার্কে। তাদের মধ্যে একটি বাঘ গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে গুরুতর অসুস্থ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে অল্প অল্প খাবার খেলেও ৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে এটি কোনও খাবার খাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ বন্য প্রাণী চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন বাঘটি ট্রিপোনোসোমিয়াসিস, লিভারের রোগ ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে এটি কোনও খাবার খাচ্ছে না। এখন সাফারি পার্কে বিরল প্রজাতির একটি সাদা রঙের বেঙ্গল টাইগারসহ মোট ৯টি বাঘ রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়টি স্ত্রী ও তিনটি পুরুষ।’

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে অসুস্থ বাঘটির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঘটির স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমান্বয়ে সংকটাপন্ন হচ্ছে। সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

পার্ক সূত্র জানায়, এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সাফারি পার্কে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল।