এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা

সেই বাসের ছিল না ফিটনেস, চালকের লাইসেন্সও

মাদারীপুরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি কারণে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমাদ পরিবহনের বাসটির ফিটনেস ছিল না। ছিল না চালকের লাইসেন্সও। বাসের বেপরোয়া গতি এবং বৃষ্টিতে মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা জানান, দুর্ঘটনার পরের দিন থেকে তারা তদন্ত শুরু করেন। গত রাতে (মঙ্গলবার) তদন্ত শেষ হয়েছে। এই সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত রাখার পরও ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসটি এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো হয় বলে উঠে এসেছে। চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। এ ছাড়া বৃষ্টিতে পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। 

তিনি আরও জানান, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েটিতে গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চলাচল করে। তাই এই সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে যাত্রীদের সিটবেল্ট পরা, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি, প্রতিটি গাড়িতে এবং মহাসড়কে জিপিএস ট্র্যাকার রাখা, সিসিক্যামেরা স্থাপন ও অনলাইনে মনিটরিং করার ব্যবস্থা রাখাসহ ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ১৯ মার্চ সকালে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে ১৯ যাত্রী নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।