নালা নির্মাণে ধীরগতি, ঘটছে দুর্ঘটনা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোয়ালন্দ বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গভীর গর্ত করে নালা খোলা অবস্থায় ফেলে রাখায় ঘটছে দুর্ঘটনা। 

গোয়ালন্দ পৌরসভা কার্যালয় জানায়, শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে গোয়ালন্দ বাজারগামী প্রধান সড়ক ও বাজারের প্রতিটি সড়কের পাশে নালা নির্মাণ হচ্ছে। প্রায় ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয় ফুট থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত চওড়া এবং ৭ থেকে ১৩ ফুট গভীরতায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সাতটি আরসিসি নালা নির্মাণ হচ্ছে। কেকেআর এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। স্থানীয়ভাবে কাজটি করছে পৌরসভার কাউন্সিলরসহ কয়েকজন সাব-ঠিকাদার। গত বছরের শুরুতে কাজটি আরম্ভ করে জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। করোনাসহ নানা কারণে এপ্রিলে কাজ শুরু হয়। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি। নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

নালা নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা

গোয়ালন্দ বাজার রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মুদি দোকানি মো. তাহিদ বলেন, ‘দোকানের সামনে বিশাল গভীর গর্ত করে নালা খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নালার পাশ দিয়ে নির্মিত বিভিন্ন খাবারের হোটেল ও মুদি দোকানে প্রতিদিন মানুষজন আসা-যাওয়া করে। এতে করে নালায় পড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।’

তিনি জানান, কয়েকদিন আগে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নালায় পড়ে যায়। তবে ওই সময় অটোরিকশায় যাত্রী না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে রিকশাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার নিরঞ্জন কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘গত বছর জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা মহামারিসহ প্রয়োজনীয় নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়ি। সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এই মাসের মধ্যে নালার কাজ শেষ হবে। অপর কিছু অংশের কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।’

নালা খোলা রাখা প্রসঙ্গে বলেন, ‘নালার চারপাশে বাঁশ আর রশি টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’