সেই চলন্ত বাসে ডাকাতিতে অংশ নেয় আট জন, গ্রেফতার ৪

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বুধবার (৫ এপ্রিল) তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকালে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. রতন (২১), মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬), ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)। 

এর আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জগামী মাদারগঞ্জ শেস্পাল নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রী বেশে সাত-আট জন ডাকাত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মাতাবাড়ী জোড়া ব্রিজ এলাকায় অস্ত্রের মুখে বাসটির নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে তারা যাত্রীদের টাকা ও স্বর্ণের চেইন, মুঠোফোন নিয়ে মধুপুরের রক্তিপাড়ার নরকোণা এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঘটনার পর ওই বাসের যাত্রী আরিফুর রহমান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে মধুপুর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বয়ে একটি দল ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতিতে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকাল ৭টায় রতনকে গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়ালসেতু এলাকা থেকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুর ১টার দিকে সাইফুলকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছে তারা। আট জন এই ডাকাতিতে অংশ নেয় বলে পুলিশকে জানায় গ্রেফতারকৃতরা।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ওই বাস থেকে তারা ১৩টি মুঠোফোন, একটি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।’