১০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে ‘হিরো আলম’

কোরবানির জন্য নিজের খামারে ৫১টি গরু প্রস্তুত করেছেন শরীয়তপুরের ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরদার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় তিন গরুর মধ্যে একটির নাম রেখেছেন ‘হিরো আলম’। প্রায় ২০ মণ ওজনের গরুটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তিন বছর বছর আগে একই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক গ্রামে ‘সরদার অ্যাগ্রোফার্ম’ নামে একটি খামারের যাত্রা শুরু করেন চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরদার। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন জাতের ৫১টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র তিন বছর বয়সী একটি গরু সবার দৃষ্টি কেড়েছে। আদর করে তার ছেলে গরুটির নাম রাখেন ‘হিরো আলম’। এ ছাড়াও তার খামারে নজরকাড়া আরও দুটি গরু রয়েছে। এর মধ্যে একটির নাম ‘শরীয়তপুরের টাইগার’ আরেকটি ‘কালো মানিক’। তাদের দেখতে প্রতিদিন খামারে আসছেন অসংখ্য দর্শনার্থী ও ক্রেতা।

hero-alam1

আব্দুল আজিজ সরদার বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গরুগুলো মোটাতাজা করেছি। প্রায় ২০ মণ ওজনের হিরো আলমের গরুটির পেছনে দৈনিক দেড় হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। ভালো দাম না পেলে বিক্রি করবো না। যদি কেউ হিরো আলমকে কিনতে চায়, বিনা খরচে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবো।’

খামারের শ্রমিক মো. জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘অনেক যত্ন করে হিরো আলম নামের গরুটি বড় করেছি। তাকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন। মালিকের ছেলে নাকি হিরো আলমকে পছন্দ করে, তাই এই নাম রেখেছি।’

hero-alam3

স্থানীয় সালদো এলাকার জসিম ফকির বলেন, ‘বড় গরু আবার নাম দেওয়া হয়েছে হিরো আলম- এমন কথা স্থানীয়দের কাছে শুনে দেখতে এসেছি। এমন বড় গরু এর আগে কোনও হাটে দেখিনি। জেলা সবচেয়ে বড় গরু হবে এটি।’

কলেজ শিক্ষার্থী তানজিলা জুই বলেন, ‘কলেজে বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, এই অ্যাগ্রোফার্মে নাকি হিরো আলম নামের গরু আছে। এত দিন শুনেছি, মানুষের নাম হিরো আলম হয়, এখন গরুর নামও না কি এটা- তাই দেখতে এসেছি।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ‘শরীয়তপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিরো আলম। এটি  বিক্রি করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুবোধ কুমার দাস বলেন, ‘জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু আছে ৪৬ হাজার। এর মধ্যে ৩৩ হাজার গরু, বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়া। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার পশুর। এবার হাট বসবে ২০টি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাটে পশু কেনাবেচা জমে উঠেছে।’