শিশুপুত্রকে নিয়ে বিষপান, ছেলের মৃত্যু হলেও চিকিৎসক মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক

দাম্পত্য কলহের জের ধরে একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে বিষপান করেছেন মানিকগঞ্জের ট্রমা সেন্টার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক। এতে শিশু রসু মন্ডল (৭) মারা গেলেও মা ডা. মিতা সরকারের (৩৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাহরিন গীতা জানান, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মিতা সরকারের শিশুপুত্র রসু মন্ডলকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়। তবে মিতা সরকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে বিষপান করিয়ে ছেলেকে হত্যার বিষয়ে মিতা সরকারের সাবেক স্বামীর বাবা ডা. রঞ্জিত কুমার মন্ডল অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তার ছেলে ডা. রঞ্জন কুমার মন্ডলের সঙ্গে মিতা সরকারের দাম্পত্য কলহের কারণে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে তার সাবেক পুত্রবধূ নাতিকে নিয়ে শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার খান মজলিস টাওয়ারে একটি পৃথক বাসায় ভাড়া থাকতেন।

শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি ওই বাসার গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে জেনেছেন তার নাতিকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর মিতা নিজেও বিষপানে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়।

এদিকে ট্রমা হাসপাতালের পরিচালক ও সাবেক স্বামীর বাবা ডা. রঞ্জিত মন্ডল অভিযোগ করেছেন, ওই হাসপাতালের খণ্ডকালীন অ্যানেসথেসিস্ট ডা. অর্ঘ্য চন্দ্র সরকারের সঙ্গে মিতার বিয়ে হয়েছে। এ ব্যাপারে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডা. অর্ঘ্য চন্দ্র সরকার বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মিতা তার একজন ভালো বন্ধু ছিল। তবে মিতা তাকে পছন্দ করতো বলে তিনি স্বীকার করেন। তার সঙ্গে সর্বশেষ শুক্রবারও কথা হয়েছিল বলে জানান অর্ঘ্য।

এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হবে।’