নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির নিয়াজ উদ্দিন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও গাসিকের একাংশ) এবং ৫ (কালীগঞ্জ ও গাসিকের একাংশ) আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মেনোনীত প্রার্থী সাবেক সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন।

ভিন্ন কোনও কারণ নয়, ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় বিষয়টি তিনিই নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসনে (গাজীপুর-১ ও ৫) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন এম এম নিয়াজ উদ্দিন। তবে তার সরে দাঁড়ানোকে অনেকে কারও ইশারা বা চাপ বললেও সেটিকে নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি নিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি এখন আর প্রচারণায় নেই। তবে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর বিষয়ে আমি এখনও রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন জমা দিইনি।

গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ঋণখেলাপির কারণে গাজীপুর-১ আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। পরে তিনি আপিল করে গাজীপুর-১ আসনেও বৈধতা পান।

তবে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও জেলার শ্রীপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মন্ডল বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, গাজীপুরের পাঁচটি আসন থেকে জাতীয় পার্টি নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবে। জাতীয় পার্টি এখনও পোস্টার ছাপায়নি। মাইকে প্রচার দিচ্ছে না। নির্বাচনের সময় কাছে এসে পড়লে এক এক করে সব প্রার্থীই নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াবেন।

গাজীপুরের বাকি তিনটি আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মেনোনীত প্রার্থীরা হলেন, গাজীপুর-২ (সদর ও টঙ্গী) আসনে জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-পিরুজালী-মির্জাপুর-ভাওয়ালগড়) আসনে অধ্যাপক এফ এম সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে শামসুদ্দিন খান।