বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘নির্বাচন এ বছরই দিতে হবে। কারণ, নির্বাচন এপ্রিল পর্যন্ত নিলে তা আরও বিলম্বিত হতে পারে। অপশক্তি সুযোগ পেতে পারে। পতিত সরকারের আস্ফালন বাড়তে পারে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এ বছরই নির্বাচন দিতে হবে। লন্ডন থেকে ফিরে এসে প্রধান উপদেষ্টা এ বছরই নির্বাচন না দিলে সিপিবি আন্দোলন শুরু করবে।’
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সিপিবির শাহাদাত হোসেন, এস এ রশীদ, মিজানুর রহমান বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচন চায় না। নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। তার আগে বিচার শুরু করে দৃশ্যমান করতে হবে। এর আগে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করলে বিচার ও সংস্কার বাধাগ্রস্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাবনায় প্রশ্ন আসে ৭০০-৮০০-এর বেশি। সামনে আনছেন ১৬৪টি। সংবিধান ও সংস্কার নিয়ে নানা মত থাকবে। কিন্তু অহেতুক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। আমরা বলেছি ৭২-এর সংবিধানে অসংগতি আছে। এ দাবি আমরা এখনও করছি। এটা আমাদের নতুন কথা নয়। যা দূর করতে হবে।’
সিপিবির এই নেতা বলেন, ‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। নচেৎ অপশক্তি সুযোগ পাবে। পতিত সরকারের আস্ফালন বাড়তে পারে। নির্বাচন যতটা বিলম্বিত হবে, পতিত সরকারের ফিরে আসার পথ ততই প্রশস্ত হবে। এ পরিষদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দায়িত্বশীলরা বলছেন, করিডর নয়, প্যাসেস দেবেন তারা। করিডর আর প্যাসেস একই কথা। কোনও ধরনের করিডর দেওয়া চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার ইচ্ছেতেই তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। তাতে কোনও সমস্যা নেই। নির্বাচন ইস্যুতে আমরা আমাদের অবস্থানে দৃঢ়। প্রয়োজনে আমরা আন্দোলনে নামবো।’