নৌকা-ঈগলের সমর্থকের বাড়িতে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

শরীয়তপুরের নড়িয়াতে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে নৌকা ও ঈগলের সমর্থকের বাড়িতে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নড়িয়া থানা, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকার দেলোয়ার খান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম খানের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এ ছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-২ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর সমর্থক ছিলেন দেলোয়ার খান। অন্যদিকে ইউপি সদস্য কালাম খান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীমের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে আবার বিরোধ তৈরি হয়।

শুক্রবার রাতে ইউপি সদস্য কালাম খান, মিলন খাঁ, সিফাত খাঁসহ বেশ কয়েকজন নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা দেলোয়ার খানের বসতবাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র, টেলিভিশন, কম্পিউটার ভাঙচুর চালিয়ে ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়। অন্যদিকে দেলোয়ার খান ও তার লোকজন আবার ইউপি সদস্য কালাম খানের ভাই সালাম খানের বসতবাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন সালাম খানের স্ত্রী আইরিন বেগম। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক দেলোয়ার খানের মা ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনে আমার ছেলে ঈগল মার্কার সমর্থক ছিল। সালাম খান নৌকার লোক ছিল। নির্বাচনে পাস করছে বলে আমাদের বাড়িতে তারা লোকজন নিয়া হামলা করছে। ঘরের সব জিনিস ভেঙে ফেলছে। আমরা এর বিচার চাই।’

দেলোয়ার খানের বোন ভুলু বেগম বলেন, ‘আমার ভাবি তাদের বাধা দিতে গেলে তার হাত ভেঙে ফেলেছে কালাম খানের লোকজন। ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে ১ লাখ টাকাও লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’

এদিকে, ইউপি সদস্য কালাম খানের ভাই সালাম খানের স্ত্রী আইরিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা ঈগল প্রতীকে ভোট দিইনি বলে দেলোয়ার খান আর তার লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ঘরের তালা গুলি করে ভেঙে ভেতরে গিয়ে টিভি, ফ্রিজ সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এই সুষ্ঠু বিচার চাই।’

জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, ‘দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় আলাদা আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’