‘ভুয়া স্টিকার’ লাগিয়ে বাড়ানো হয় মেয়াদ, ৪৯ লাখ টাকার খেজুর জব্দ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে দুটি কোল্ড স্টোরেজে মজুত রাখা প্রায় ৪৯ লাখ টাকার খেজুর উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এর মধ্যে প্রায় ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর রয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

খেজুর মজুত রাখা প্রতিষ্ঠান দুটি হলো মৌসুমী এন্টারপ্রাইজ ও মদিনা এন্টারপ্রাইজ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রোপলিটনের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম অভিযানের নেতৃত্ব দেন । এ সময় ভোক্তা অধিকারের নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তারিক হোসেনের মালিকানাধীন মৌসুমী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোল্ড স্টোরেজে ১৪ মেট্রিক টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুত রাখা ছিল। ২০২৩ সাল পর্যন্ত খেজুরগুলোর মেয়াদ ছিল। ভুয়া স্টিকারের মাধ্যমে মেয়াদ বাড়িয়ে এগুলো বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই খেজুরের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। খেজুরগুলো জব্দ করা হয়েছে।’

‘অপরদিকে, জিলানীর মালিকানাধীন মদিনা এন্টারপ্রাইজ নামের কোল্ড স্টোরেজ থেকে মজুত রাখা ১৭ মেট্রিক টন খেজুর উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬০ টাকা। এই খেজুরের মেয়াদ থাকলেও পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ কারণে এই খেজুরগুলোও জব্দ করা হয়েছে।’

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির উদ্দেশে খেজুর মজুত করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রমজানের সময়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার জন্য তারা খেজুরগুলো মজুত করে রেখেছিল। আমরা খেজুরগুলো সিল করে দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’