ঈদে বেড়াতে গিয়ে দুই ভায়রার মৃত্যু, একজনের ছেলে নিখোঁজ

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলেসহ তিন জন নিখোঁজ হয়েছেন। ঘটনার পৌনে চার ঘণ্টা পর ওই বাবাসহ দুজনের লাশ পাওয়া গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ছেলে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া পদ্মার চর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে পদ্মায় ডুবে নিখোঁজ হন তারা।

মারা যাওয়া দুজন হলেন—ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোড এলাকার হারুনুর রশিদ মোল্লার ছেলে রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫) ও তার ভায়রা জুয়েল রানা (৪০)। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন রিয়াদ আহমেদের ছেলে আরিফ আহমেদ (১৬)। রিয়াদ বাংলাদেশ রেলওয়েতে ও জুয়েল একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামে চাচা ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রিয়াদ আহমেদ। শুক্রবার বিকালে তারা তিন জনসহ ৩০-৩৫ জন ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে ঘুরতে বের হন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া পদ্মার চরে আসেন। সেখানে ট্রলারের অধিকাংশ লোক গোসল করতে নামেন। একপর্যায়ে বিকাল ৫টার দিকে রিয়াদ, জুয়েল ও আরিফসহ অনেকে নদীর গভীরে চলে যান। সে সময় নদীতে স্রোত ছিল। অন্যরা সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও রিয়াদ, তার ছেলে আরিফ ও জুয়েল স্রোতে ভেসে যান। খবর পেয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

চর আবদুল্লাহ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবুল হাসনাত বলেন, ‘রাত পৌনে ৯টার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অপরজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।’ 

টঙ্গীবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। দুজনের লাশ পেলেও এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।’

রিয়াদ আহমেদ রাজুর ভগ্নিপতি মো. মিথুন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে নদীতে গোসলে নেমেছিলাম। হঠাৎ তারা তিন জন নদীর বালুর গর্তে পড়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। রাতে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনও রাজু ভাইয়ের ছেলে নিখোঁজ রয়েছে।’