ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জন এক পরিবারের

ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে চার জন এক পরিবারের। এ ঘটনায় আহত পাঁচ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এক পরিবারের নিহত চার জন হলেন বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মিলন মোল্লা (৪২), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫), বড় ছেলে রুহান (৯) ও ছোট ছেলে হাবিব (৬)।

রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফট অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপভ্যানে করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। তারা চার জনসহ ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যান। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। আহত সাত জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় একজন ও হাসপাতালে আরও একজন মারা যান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আহত সাত জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচ জনের চিকিৎসা চলছে।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ এবং আহতদের তিন লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের