মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু

বাসন্তী দুর্গা পূজায় দেবীর মাথায় সিঁদুর দেওয়ার সময় মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে মোমবাতির আগুনে দগ্ধ হন মলি রানী সাহা (৪৬)। ঘটনার সাত দিনের মাথায় তিনি মারা গেছেন। 

এক সপ্তাহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন মলি। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। মন্দিরের পুরোহীত কানু গোস্বামী  ও নিহতের স্বামী অশোক কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

মলি সাহা মানিকগঞ্জের গংগাধরপট্টির বনগ্রাম এলাকার প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার মেয়ে ও অশোক কুমার সাহার স্ত্রী। তিনি স্থানীয় একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মলি রানী সাহা গত ১৮ এপ্রিল রাতে বাসন্তী দুর্গা পূজার দশমীর দিন শহরের কালীবাড়ী মন্দিরে দেবীর কপালে সিঁদুর দেওয়ার সময় সেলফি তোলার চেষ্টা করছিলেন। এসময় পাশেই জ্বলছিল মোমবাতির প্রদীপ। সেই মোমবাতি থেকে আগুন লাগে মলি সাহার শাড়িতে। তার শরীর আগুনে দগ্ধ হলে প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

মেটলাইফের শাহনুর এজেন্সি ইউনিট ব্যবস্থাপক গোবিন্দ কুমার সুত্রধর জানান, মলি সাহা মেটলাইফের শাহনুর এজেন্সি এফএ হিসেবে কাজ করতেন।

তার স্বামীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, মলির দেহের ৩৫ ভাগেরও বেশি পুড়ে যায় তার। প্রায় এক সপ্তাহ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা গেলেন। তার একটি মাত্র ছেলে ভারতে ব্যাঙ্গালুরুতে লেখাপড়া করছেন।

নিহতের স্বামী অশোক কুমার সাহা জানান, তার স্ত্রীর লাশটি হাসপাতালটির হিমঘরে রাখা হয়েছে। তাদের ছেলে দেশে আসার পর শনিবার মরদহ মানিকগঞ্জে আনা হবে।