পিকআপভ্যানে ডাকাতির সময় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

গাজীপুরে মুরগি পরিবহনের পিকআপভ্যানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গাড়িতে থাকা মুরগি ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে চালক হৃদয় মিয়া আহত হয়েছেন।

শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া-মনোহরদী সড়কের সালদৈ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে সালদৈ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন। 

নিহত জাকিরুল ইসলাম (২০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মমরেজপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি গাজীপুর নগরে মুরগির ব্যবসা করতেন। চালক হৃদয় (২৭) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মাধখোলা গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মমিন বলেন, ‘শনিবার রাতে গাজীপুর থেকে হৃদয়ের পিকআপভ্যান নিয়ে কাপাসিয়ায় মুরগি কেনার জন্য আসছিলেন জাকিরুল। রাত ২টার দিকে সালদৈ এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে ওতপেতে থাকা ডাকাতরা তাদের পিকআপ লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে পিকআপের সামনের গ্লাসে ঢিল পড়লে চালক গতি কমিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ১০-১২ জন ডাকাত পিকআপটি ঘেরাও করে। তারা চালক হৃদয়কে গাড়ি থেকে নামিয়ে তার কাছে টাকা চায়। তার কাছে নেই জানালে জাকিরুলের কাছে টাকা চায়। টাকা দেবে না জানালে ডাকাতরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তার কাছে থাকা মুরগি কেনার এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সেইসঙ্গে ছুরিকাঘাতে আহত হন হৃদয়।’

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন চালক হৃদয় বলেন, ‘ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর পিকআপে উঠে জাকিরুলকে মৃত দেখতে পাই। পরে তাকেসহ পিকআপ চালিয়ে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাইফুলের চায়ের দোকানে এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে তারা কাপাসিয়া থানায় খবর দেয়। এরপর চিকিৎসার জন্য আমাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আহত হৃদয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘জাকিরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ধারালো ছুরির এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’