মুন্সীগঞ্জে কবর খুঁড়ে ১১ মরদেহের মাথার খুলি চুরি

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বেজগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব বেজগাঁও কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে একরাতে ছয়টি লাশের খুলি চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের বিভিন্ন কবর খুঁড়ে খুলিগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। রবিবার দিবাগত রাতের কোনও একসময়ে এগুলো চুরি হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পাঁচটি খুলি চুরি হয়।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এলাকাবাসী ও কবরস্থান কমিটির সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে এলাকার মানুষজন কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

এলাকাবাসী জানান, সোমবার ভোরে কয়েকজন স্বজন কবর জিয়ারত করতে যান। এ সময় তারা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। লোকজন এসে ছয়টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। সেগুলোতে কঙ্কাল পড়ে থাকলেও মাথার খুলি পাওয়া যায়নি।

কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে কবরগুলো খোঁড়া দেখে তল্লাশি করে দেখা যায় ছয়টি কবরের কঙ্কাল থেকে ছয়টি খুলি চুরি হয়েছে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পাঁচটি কবর খুঁড়ে পাঁচটি খুলি নিয়ে গেছে চোরেরা।’

কবরস্থান কমিটির সভাপতি আবু কালাম কানন বলেন, ‘সম্প্রতি বেজগাঁও কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে লাশের খুলিগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছি। কবরস্থানটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে হওয়ায় চোরেরা সহজে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেন রাতে অন্তত দুবার এই এলাকায় টহল দেয়, সে অনুরোধ করেছি।’

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কবরস্থানটিতে প্রাচীর না থাকায় সহজে চোরেরা চুরি করে পালিয়ে যায়।’

কেন কঙ্কাল ও খুলি চুরি হচ্ছে জানতে চাইলে আনিসুর রহমান বলেন, ‘যারা জাদুবিদ্যায় জড়িত কিংবা তন্ত্র-মন্ত্র করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে মূলত এগুলো নিয়ে কাজে লাগাচ্ছে তারা। তবে এই কবরস্থান থেকে ১১টি খুলি চুরির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি আমরা। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’