বগুড়ায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২০ জুন) গভীর রাতে শহরের ঝোপগাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দল গ্রিল ও দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে সাবেক ব্যাংকার আবদুল মান্নান মন্ডল ও তার স্ত্রীকে বেঁধে মারধর করে। তিনটি ঘর তছনছ করে নগদ ২৬ হাজার টাকা ও ৪/৫ ভরি সোনার গহনা নিয়ে গেছে। ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে আবদুল মান্নান আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাতিজা আলাউদ্দিন আহমেদ সোহাগ ও এলাকাবাসী জানান, বগুড়া সদরের ঝোপগাড়ি দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্বাস আলী মন্ডলের ছেলে আবদুল মান্নান মন্ডল (৭০) অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে ঢাকায় বসবাস করেন। জামাই ঢাকার কলাবাগান থানার ওসি ফজলে আশিক সোহেল। ব্যাংকার দোতলা বাড়ির নিচতলা একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছেন। দোতলায় স্ত্রী ইসমত আরাকে নিয়ে বসবাস করেন।
তারা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ৫/৬ জনের একদল মুখোশধারী গ্রিল ও দরজা ভেঙে বাড়ির নিচতলায় এনজিও কার্যালয়ে প্রবেশ করে। আবদুল মান্নান মন্ডল টের পেয়ে নিচে নেমে এলে ডাকাতরা তাকে আটক করে দোতলায় নিয়ে যায়। বাধা দিলে তারা বৃদ্ধ মান্নানের হাতে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এরপর দম্পতিকে বেঁধে ফেলে রেখে তিনটি ঘর তছনছ করে। প্রাথমিক হিসাবে ঘর থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা, ৪/৫ ভরি সোনার গহনা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। আহত মান্নানকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়নি।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, এটা ডাকাতি নয়; চুরির ঘটনা। চোরের দল নিচতলায় এনজিও অফিসে চুরি করতে এসেছিল। গৃহকর্তা টের পেয়ে নিচে নেমে এলে চোররা তাকে দোতলার বাড়িতে নিয়ে স্ত্রীসহ বেঁধে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।