মুন্সীগঞ্জ সদরে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্তকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গণধোলাইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে (৫৫) উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা হাসপাতালে প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই জানান, তার বোন ২৬ মার্চ উপলক্ষ্যে কুচকাওয়াজের রিহার্সেল করার জন্য সোমবার সকালে স্কুলে যায়। ওই সময় আবুল ঘটনাটি ঘটায়। পরে তার বোন বাড়িতে এসে ঘটনাটি বললে জানাজানি হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শহরের কোটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় শিশুটি। এ সময় শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা থাকায় স্কুলটির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দফতরি আবুল হোসেন। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা চলে আসায় শিশুটিকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত।
পরে ভুক্তভোগী শিশুটি পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি জানালে মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে স্কুলে আটক করে গণধোলাই দেন স্থানীয় লোকজন। আবুল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলেও উত্তেজিত জনতার অবরোধের কারণে ঢাকায় পাঠানো বিলম্বিত হচ্ছে।
সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। এখনও হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে স্থানীয় জনতা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিকাল সোয়া ৫টায় জানান, প্রথমদিকে মৌখিকভাবে ভুক্তভোগীর স্বজনরা নানারকম দাবি করেছিল। সারাদিন ধরে তাদের নানাভাবে বোঝানোর পর তারা সেখান থেকে সরে এসেছে। এখন তারা ১০ দফা লিখিত দাবি জানিয়েছে। তারা চায় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে। প্রায় চার ঘণ্টা পর মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে সরে যাব স্থানীয়রা। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের।