X
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
১৮ বৈশাখ ১৪৩২

প্রেমিককে হত্যার স্বীকারোক্তি আদালতে দিলেন নারী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
০১ মে ২০২৫, ১০:১২আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ১০:১২

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জাহাজ শ্রমিক জিহাদ সরদার (৩০) ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার লাশ উদ্ধারের পর গ্রেফতার নারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর অন্তার মোড় এলাকা থেকে তার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাথা পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা লাশের পোশাক ও শরীরের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় সোমবার জিহাদের বাবা সহিদ সরদার বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তিনি উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের কাচরন্দ গ্রামে বাসিন্দা।

মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন আসামি হলেন- একই গ্রামের দুবাই প্রবাসী খলিলের স্ত্রী সুমানা পারভীন সেতু (২৪), জিহাদের চাচা বাবলু সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার (২৭) ও প্রতিবেশী হারেজ বেপারীর ছেলে হৃদয় বেপারী (২৪)।

এ মামলার প্রধান আসামি সুমানা পারভীন সেতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে বুধবার রাজবাড়ীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সেতুর বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের চর বালিয়াকন্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে বুধবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠায়। এর আগে মামলার দুই নম্বর আসামি সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহত জিহাদ নারায়ণগঞ্জের একটি জাহাজ মেরামত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি বাড়িতে এসে সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ হন। 

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার আসামি সুমানা পারভীন সেতু বুধবার রাজবাড়ীর আদালতে জিহাদ হত্যার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

সেতুর উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আরও জানান, জিহাদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একই সঙ্গে হৃদয় ও সোহাগের সঙ্গেও সে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এ সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে সে বাবা ও স্বামীর বাড়ি বাদ দিয়ে হৃদয়দের বাড়ির পাশে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র সন্তান নিয়ে বসবাস করতো। গত বৃহস্পতিবার বিকালে জিহাদ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে গভীর রাতে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে যায়; কিন্তু হৃদয় ও সোহাগ ওই নারীর সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে নদীর পাড়ে নিয়ে হত্যা করে বডি ও মাথা নদীতে ফেলে দেয়। 

এ হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি হৃদয়সহ পরিকল্পনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

/এফআর/
সম্পর্কিত
প্রেমের জেরে পুলিশ সদস্যকে হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬
টেকনাফে সরকারি বরাদ্দের মালামাল মিয়ানমারে পাচার
কিশোর ক্রিকেটার খুনের ঘটনায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ৪ সহপাঠী গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
রবিবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
রবিবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
৩ তারিখের আগেই নারী কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি হেফাজতের
৩ তারিখের আগেই নারী কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি হেফাজতের
এনবিআরের বিভক্তিতে সুফল মিলবে?
এনবিআরের বিভক্তিতে সুফল মিলবে?
গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনাদের প্রতিবাদ
নেতানিয়াহুর ওপর বাড়ছে চাপগাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনাদের প্রতিবাদ
সর্বাধিক পঠিত
অস্ত্র নিয়ে সাবেক এমপির ওপর হামলা, অল্পের জন্য রক্ষা
অস্ত্র নিয়ে সাবেক এমপির ওপর হামলা, অল্পের জন্য রক্ষা
টেকনাফে সরকারি বরাদ্দের মালামাল মিয়ানমারে পাচার
টেকনাফে সরকারি বরাদ্দের মালামাল মিয়ানমারে পাচার
মোহাম্মদপুর-বসিলা সড়কে যানজট নিরসনে নতুন উদ্যোগ
মোহাম্মদপুর-বসিলা সড়কে যানজট নিরসনে নতুন উদ্যোগ
টিসিবির ডিলারদের চুক্তি নবায়নের আহ্বান
টিসিবির ডিলারদের চুক্তি নবায়নের আহ্বান
চিন্ময়ের জামিন কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, ইন্টেরিম সাবধান: হাসনাত আব্দুল্লাহ
চিন্ময়ের জামিন কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, ইন্টেরিম সাবধান: হাসনাত আব্দুল্লাহ