এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মৃদুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা চলাকালে জেলার কালিহাতী শাহজাহান সিরাজ কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক।

আটক মৃদুল হাসান ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ওই কলেজের ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, ছাত্রদল সভাপতি মৃদুল হাসানকে আটকের পর তাকে পুলিশভ্যানের চালকের আসনের পাশের সিটে বসিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে পুলিশের এসআই শফিকুর রহমানকে পেছনের সিটে বসে যেতে হয়েছে। ওই নেতাকে ভিআইপিভাবে গাড়ির সামনের আসনে নিয়ে যাওয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক বলেন, পরীক্ষা চলাকালে সময়ে আমি আশপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করি। পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের ভেতরে তাকে এলোপাতাড়িভাবে ঢুকতে দেখে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আটক করতে নির্দেশ দিই। তার কাছে নকলের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। আটকের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে বলা হয়েছে।

কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মজিবর রহমান বলেন, ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত নির্দেশনা পেয়েছি। এসিল্যান্ড স্যার এবং কলেজের সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কালিহাতী থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, নকলের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নাগরিক হিসেবে চালকের পাশের সিটে বসিয়ে সেবা দিতেই পারি। এতে আমার যদি হেডেক (মাথাব্যথা) না থাকে তাহলে আপনার হেডেক কেন হবে? অন্য আসামিদের ক্ষেত্রে কী এমন সেবা দেয়া হয় প্রশ্ন করতেই ফোন কেটে দেন তিনি।

উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নকলের বিপক্ষে। সে কাজটি ঠিক করেনি। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো বলেন, কালিহাতীতে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে বিএনপি তার দায় নেবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছেলেকে ইতোমধ্যে জেলা ছাত্রদল থেকে শোকজ করা হয়েছে। নির্দোষ প্রমাণিত না হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।