টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে চারজনকে আটক করা হলেও অবশিষ্ট ১০ জন থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশ অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফিজুর রহমান।
এদিকে বুধবার টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুপুরে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত টাঙ্গাইল সদরের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম চার্জশিট গ্রহণের শুনানি শেষে তিনি এ দশ জনের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানেন কিনা জানতে চাইলে মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খান পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে কাঁকন ও বাপ্পা দেশের বাইরে রয়েছেন। একজন থাইল্যান্ড ও একজন মালয়েশিয়া রয়েছে শুনেছি। আর দেশে আছে দুইজন। দেশে যে দুইজন আছেন, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেইসঙ্গে দেশের বাইরে যে দুইজন রয়েছেন তাদেরকে আইনগত ভাবে দেশে আনার ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাই।’
এ নিয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের সঙ্গে। খান পরিবারের সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। তবে শুনেছি দেশের বাইরে খান পরিবারের দুই ভাই অবস্থান করছেন। আমরা আশা করেছিলাম এরই মধ্যে অন্তত একজন প্রধান আসামি হলেও গ্রেফতার হবেন। তার ওপর চার্জশিট যেহেতু হয়েছে, আজ হোক কাল হোক কাঠগড়ায় তাদের দাড়াতেই হবে। শাস্তি তাদের অবশ্যই হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ার নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফারুক আহমেদের লাশ উদ্ধার হয়।
/এইচকে/টিএন/