জাতীয় বাজেট নিয়ে খুলনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

খুলনাজাতীয় সংসদে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেটকে খুলনার ক্ষমতাসীন ও রাজপথের বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঘোষিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে। উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এ বাজেট দেশের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বিএনপি উচ্চাভিলাষী এ বাজেট জনস্বার্থে নয় বলে দাবি করেছে। তবে খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বাজেট জনহিতকর বলে আখ্যা দিয়েছে।

উন্নয়নের বাজেট

ঘোষিত বাজেটকে সময়োচিত শিল্প, শিক্ষা, কৃষি আর যোগাযোগ বান্ধব বাজেট আখ্যায়িত করে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নেতারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে এবং উন্নত বিশ্বের পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে সকলকে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার এবং সরকারকে সহযোগিতা করা করতে হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশীদি সুজা এমপি, কেন্দ্রিয় নেতা এস এম কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি, শেখ হায়দার আলী, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শেখ সৈয়দ আলী, অ্যাড. সাইফুল ইসলাম, শেখ আবিদ হোসেন।

বাজেট ২০১৬-১৭আরও বিবৃতি দেন এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস মনিরুল ইসলাম বাশার, শহীদুল ইসলাম বন্দ, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, এস এম আনিছুর রহমান, আবুল কাশেম মোল্লা, রণজিৎ কুমার ঘোষ, অ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, কামরুজ্জামান জামাল, আকতারুজ্জামান বাবু, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মনিরুজ্জামান সাগর, হাফেজ মো. শামীম,  শেখ মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. তমাল কান্তি ঘোষ, শেখ শাহজালাল হোসেনে সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।

উচ্চাভিলাষী বাজেট, জনস্বার্থে নয়

মহানগর বিএনপির নেতারা বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জনগণ নয়, বরং নিজেদের স্বার্থে উচ্চাভিলাষী ও কল্পনাবিলাসী এ বাজেট পেশ করেছে অনির্বাচিত সরকার। এই বাজেট জনগনকে শোষণ করবে ও শাসকদলীয় নেতাদের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটাবে।

বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, বাজেটের অর্থ হলো সারা বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা। কিন্ত সরকার যতো হাঁকডাক পিটিয়ে পরিকল্পনার কথা বলে, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছুই দিতে পারে না। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকা ও লুটেরা মনোবৃত্তি বাজেট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। 

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের  উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল আলম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু প্রমুখ।

বাজেট জনহিতকর

বাজেট ২০১৬-১৭ঘোষিত জাতীয় বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেছে খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। একই সঙ্গে বাজেটে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে পেনশন ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ, ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখা এবং বয়স্ক, দুস্থ, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে বরাদ্দ রাখায় এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

একইসঙ্গে খুলনা চেম্বারের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য প্যাকেজ ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

আরও পড়ুন: খুলনায় বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

/এইচকে/