স্থানীয়রা জানান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিক বিদায় ও ইউপি চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নেতা। শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা তুলে এসব দাবি উপহারের ব্যয় মিটানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, বিশেষ অতিথি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান ও ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুকে অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে মাইকে ঘোষণা দিয়েই স্বর্ণের এসব উপহার দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ বিদ্যালয়গুলো হতে ২ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়েছে চেয়ারম্যান, ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারের জন্য তৈরি করা স্বর্ণালংকারের ব্যয় মেটাতে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও কর্মস্থলে ঝামেলায় পড়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলতে পারছেন না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ‘কোনও ধরনের চাঁদার মাধ্যমে এমন অনুষ্ঠান করা হয়নি।’ ব্যাক্তিগতভাবে ভালোবেসে কোন উপহার দিলে দেওয়ায় কোনও বাধা নেই বলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। পরে তার মোবাইলটি বন্ধ করে রাখেন।
চাঁদা তুলে দেওয়া উপহার গ্রহণ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলাম। এক পর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এসব উপহার দেওয়া হয়। এ সব উপহারের বিষয়ে আগে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। উপহার দেওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছিল, এটা চেয়ারম্যান সাহেব দিয়েছেন। কিন্তু পরে শুনেছি চাঁদা তুলে করা হয়েছে। কোনটা সত্য এখনও আমি নিশ্চিত হতে পারিনি।’
/এএ/