মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক নৌ-রুট মংলা–ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি চালু হওয়ায় ৮১ কিলোমিটার দূরত্ব কমলো। এছাড়া মংলা-ঘষিয়াখালীর রমজানপুর এলাকায় একটি লুপকাট করায় আরও পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস পেয়ে মোট ৮৬ কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস পেয়েছে। ফলে জ্বালানি সাশ্রয়সহ অনেক সময় বেঁচে যাবে বলে জানিয়েছেন এই রুট ব্যবহারকারীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাগেরহাটের ‘মংলা-ঘষিয়াখালী’ নৌ-চ্যানেল এবং বৃহত্তম খাদ্যগুদাম ‘মংলা সাইলো’র উদ্বোধন করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাইলো ও নৌ-চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নবনির্মিত ১১টি ড্রেজার উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের সময় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ডা. মোজাম্মেল হোসেন গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
জেটি ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক স্থাপনাসহ প্রকল্পটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৫৭৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি দুশ’ কোটি টাকা জাপানের জেডিসিএফ অর্থায়ন করেছে। ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক এই কনক্রিট গ্রেইন সাইলোতে যান্ত্রিক উপায়ে খাদ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকায় অপচয় এবং খরচ কমবে।
/বিটি/