‘অরণ্যের’ জন্য ভালোবাসা পুলিশ কর্মকর্তার

অরণ্যের জন্য পাঠানো উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছেঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জঙ্গলে কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশু অরণ্যকে ভুলে যাননি কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। তাই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সোমবার রাতে অরণ্যের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। অকৃত্রিম ভালোবাসার উদাহরণ হিসেবে তিনি অরণ্যকে দীর্ঘদিন পরেও মনে রেখেছেন। নিজে আসতে না পারলেও তার জন্য পাঠিয়েছেন হরলিক্স, পোশাকসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী।

২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি কবরস্থানের জঙ্গলে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতক শিশুকে এলাকাবাসী পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে থানার সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেন নিজে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। জঙ্গলে পড়ে পাওয়ায় তার নাম রাখেন অরণ্য। শিশুটিকে পাওয়ার পর তাকে ডাক্তার দেখানো, দুধ ও পোশাক কিনে দেওয়াসহ নাম রাখার প্রথম কাজটি করেছিলেন তিনি। পরে ওসি আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে শিশুকে দত্তক নেন গোপালপুর গ্রামের বসির আহম্মেদ ও আমেনা খাতুন দম্পত্তি। সেই পালিত পিতা মাতার কাছে বেশ আদর যত্নে বড় হচ্ছে অরণ্য।

ওসি আনোয়ার হোসেন বর্তমানে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কর্মরত রয়েছেন। এখনও তিনি শিশু অরণ্যের খোঁজ-খবর রাখেন।

মোবাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনে কি ভালোবাসা থাকতে পারে না? পুলিশের মনেও আবেগ, অনুভুতি, ভালোবাসা আছে। শিশুটির কথা প্রায়ই মনে পড়ে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারি না। ফোনে ওর খোঁজ-খবর নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে দিয়ে ওর জন্য সাধ্যমতো উপহার সামগ্রী পাঠাই। আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অরণ্যের প্রতি তো বিশেষ রকম ভালোবাসা থাকতেই পারে।’ 

/বিটি/