২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি কবরস্থানের জঙ্গলে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতক শিশুকে এলাকাবাসী পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে থানার সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেন নিজে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। জঙ্গলে পড়ে পাওয়ায় তার নাম রাখেন অরণ্য। শিশুটিকে পাওয়ার পর তাকে ডাক্তার দেখানো, দুধ ও পোশাক কিনে দেওয়াসহ নাম রাখার প্রথম কাজটি করেছিলেন তিনি। পরে ওসি আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে শিশুকে দত্তক নেন গোপালপুর গ্রামের বসির আহম্মেদ ও আমেনা খাতুন দম্পত্তি। সেই পালিত পিতা মাতার কাছে বেশ আদর যত্নে বড় হচ্ছে অরণ্য।
ওসি আনোয়ার হোসেন বর্তমানে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কর্মরত রয়েছেন। এখনও তিনি শিশু অরণ্যের খোঁজ-খবর রাখেন।
মোবাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনে কি ভালোবাসা থাকতে পারে না? পুলিশের মনেও আবেগ, অনুভুতি, ভালোবাসা আছে। শিশুটির কথা প্রায়ই মনে পড়ে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারি না। ফোনে ওর খোঁজ-খবর নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে দিয়ে ওর জন্য সাধ্যমতো উপহার সামগ্রী পাঠাই। আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অরণ্যের প্রতি তো বিশেষ রকম ভালোবাসা থাকতেই পারে।’
/বিটি/