সোনালী জুট মিল মালিক ও ৪ ব্যাংক কর্মকর্তার নামে দুদকের মামলা

দুদকগুদামজাত পাটের বিপরীতে ব্যাংক ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী জুট মিল মালিকসহ পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা কার্যালয়।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন খুলনার মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন (বুলবুল),  সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খুলনা কর্পোরেট শাখার সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খুলনা কর্পোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এবং জুট মিলস, হিমায়িত মৎস্য ও বিবিধ ঋণ বিভাগের ইনচার্জ শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খুলনা কর্পোরেট শাখার প্রাক্তন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (পিআরএল ভোগরত) সমীর কুমার দেবনাথ।

দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর তিনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে খানজাহান আলী থানায় এ মামলা করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, সিসি প্লেজ ও সিসি হাইপো খাতে ২০১০ সাল থেকে দফায় দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এর বিপরীতে কোনও মালামাল ক্রয় না করে ওই অর্থ অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজোশে আত্মসাৎ করেন। যা বর্তমানে সুদাসলে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ১২ জুলাই ও ১৪ জুলাই দু’দফায় সোনালী জুট মিলের অনুকুলে ১৮ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মালামাল প্লেজ করা হয়। অথচ মঞ্জুরিকৃত প্লেজ ঋণ সীমা ছিল ১৫ কোটি টাকা। ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে কোনও ক্রমেই প্লেজসীমার অতিরিক্ত টাকার প্লেজ দেওয়া যাবে না। এভাবে ব্যাংক কর্মকর্তারা সরকারি স্বার্থ ক্ষুণ্ণ ও মিলের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে ওই পরিমাণ টাকার প্লেজ দেখিয়ে ব্যাংক ঋণের টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০১০-১১, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ পাট মৌসুমেও একই ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

/বিটি/