খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় চলছে পরিবহন ধর্মঘট

খুলনা বিভাগের দশ জেলায় রবিবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্স দুদু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চলছে পরিবহন ধর্মঘটএদিকে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা। সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত আব্দুর রহমান জানান, পরিবার নিয়ে মাগুরায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসস্ট্যান্ডে আসা। কিন্তু এখানে আসার পর বিপদে পড়লাম। কোনও বাসই যাবে না। আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এমন আন্দোলন জনগণকে জিম্মি করার সামিল, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, শনিবার দুপুরে যশোরের চাঁচড়ায় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় খুলনা বিভাগের দশ জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু।

বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হোসেন বলেন, ‘খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বাস, ট্রাক, মিনিবাসসহ সব ধরনের পরিবহন সংশ্লিষ্টরা এ ধর্মঘট পালন করছে।’

এদিকে, বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে খুলনা বিভাগে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে খুলনার জ্বালানি সেক্টরের ৪টি সংগঠন। সংগঠন ৪টি হচ্ছে- খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি।

খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। একজন চালক জেল হাজতের চিন্তা মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাতে পারে না। তাতে সড়কে দুর্ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে।’ এসময় তিনি জামির হোসেনের সাজার বিষয়টি ফের বিবেচনা করে তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হয়। এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এরই প্রতিবাদে খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।

/এমও/