যশোরে শ্রমিক বিক্ষোভ, বিকেলে মিছিল সমাবেশ

যশোর

ঢাকায় পুলিশের গুলিতে বৈশাখী পরিবহনের ড্রাইভার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। সারা দেশে চলমান অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের সাথে যশোরেও চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।  

এসময় শ্রমিকরা যশোর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মণিহার চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন।সমাবেশে শ্রমিক নেতারা ঢাকায় গুলিতে নিহত বাসশ্রমিক হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত দুই চালকের বিষয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে বিকেল ৪টায় শহরের মণিহার চত্বরে শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু, পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা হোসেন, শ্রমিকনেতা ইনতাজ আলী, মিজানুর রহমান মিজু, ওসমান আলী, সাঈদুর রহমান জনি প্রমুখ।

বুধবারও যশোর থেকে কোন ধরণের যানবাহন ছেড়ে যায়নি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ অন্য স্ট্যান্ডে জমা করে রাখা হয়েছে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। কাউন্টারগুলোতে তালা ঝুলছে। ফলে রেলস্টেশনে বাড়ছে ভিড়।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, শ্রমিকরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মিশুক মুনীর ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট চলছে। বাসচালক জামিরের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা। এরফলে যশোর থেকে ১৮টি রুটে বাসসহ ট্রাক চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে এ কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ধর্মঘট চলছে।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন : ধর্মঘটে স্থবির হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য