যশোরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিলের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

Jessore Land occupai pic 28.05.17যশোর সদরে মাহিদিয়া বিলের প্রায় একশ’ বিঘা জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সেখানকার জমি ভোগদখলকারী শতাধিক কৃষক পরিবারের সদস্যরা।

তবে, জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলাম। শাহারুল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

মাহিদিয়ার জমি ভোগদখলকারী প্রান্তিক চাষিদের পক্ষে শফিয়ার রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মাহিদিয়ার বিলের প্রায় একশ’ বিঘা জমি আমাদের পূর্ব পুরুষরা ১৯২৭ সালের আগ থেকে চাষ করে আসছিলেন। এরপর ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ওয়ারেশ সূত্রে জাফর সরদার, শামছুর সরদার, মোকছেদ দফাদার, সুনাল্যে বিশ্বাস, হাগু মোল্যা, শরিয়াতুল্যা, অটল বিহারী পাল প্রমুখের নামে রেকর্ড লিপিবদ্ধ করে। ১৯৪৬-৪৭ সালে ওই জমি পাকিস্তান সরকার যশোর জেলা প্রশাসকের নামে অধিগ্রহণ করে। ওইসময় পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ হলে হাজার হাজার ভারতীয় নাগরিক এদেশে রিফিউজি হিসেবে প্রবেশ করে। তাদের রূপদিয়া, সাড়াপোল, বানিয়াবহু, তপসীডাঙ্গা, চাঁচড়া, রাজা বরদাকান্ত রোড এলাকাসহ আশপাশে থাকতে এবং হরিণাসহ আশপাশের বিল এবং মাহিদিয়া বিলের কিছু অংশ মৌখিকভাবে চাষাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বন-বাঁদাড় হওয়ায় তারা কোনোদিন সেখানে চাষাবাদ করেনি।

তিনি জানান, ১৯৬২ সালে সরকার দখল শর্তানুযায়ী তাদের বংশধরদের নামে ওই জমি রেকর্ড করে। ৬২’ সালের রেকর্ড অনুযায়ী রিফিউজিদের নামে কোনও জমি রেকর্ড হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গত ২৩ মে আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলাম তার সশস্ত্র কাডার নিয়ে ওই জমি দখল করতে যান। ওইসময় স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কৃষকরা দাবি করেন, ১৯৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী আমরাই জমির প্রকৃত মালিক। ভূমিদস্যু শাহারুলের কবল থেকে তারা মুক্তি চান।

এদিকে, শাহারুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের খবর শুনে দুপুরে প্রেসক্লাবে আসেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই মৌজায় ২৯ বিঘা জমি আমি রিফিউজিদের কাছ থেকে দলিলসূত্রে কিনেছি।’

/বিএল/